উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২/০৪/২০২৩ ৫:৫৫ পিএম

নির্বাচনের দিন সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে কিংবা ভোট গণনার সময় সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না। ফেসবুকে লাইভও করা নিষেধ। এছাড়া নির্বাচনের দিন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত এক নীতিমালায় বুধবার এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নীতিমালা না মানলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর নামে ইস্যু করা কার্ড বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশসহ নির্বাচনী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন এ নীতিমালা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে।

জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন এবং যেকোনো উপনির্বাচনে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা চলাচলের জন্য যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য কমিশন যৌক্তিকসংখ্যক যানবাহনের স্টিকার সরবরাহ করবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।

মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক সাংবাদিক পরিচয়পত্র, সাপোর্ট স্টাফ (মিডিয়া) পরিচয়পত্র এবং গাড়ির স্টিকার অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রিসাইডিং অফিসারকে জানিয়ে ছবি তুলতে, তথ্য সংগ্রহ করতে ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই কেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। এমনকি গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি তোলা, ভিডিও করা যাবে না।

ভোটকেন্দ্রে একই সঙ্গে দুটির বেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেবে না নির্বাচন কমিশন। তারা ১০ মিনিটের বেশি ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করতেও পারবেন না। কেন্দ্রের ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট ও ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনা দেখতে পারবেন। ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারবেন। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না, এমনটাই জানানো হয়েছে নীতিমালায়। বলা হয়েছে, ভোটকক্ষ থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকেরা প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশনা মেনে চলবেন। ভোটকেন্দ্রের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়, এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। কোনো ধরনের নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ কিংবা অপসারণ করা যাবে না। নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর বা রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারণা চালানো থেকেও বিরত থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা।

নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ও অনুমোদনসূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।

পাঠকের মতামত

ন্যূনতম খাদ্য গ্রহণে খরচ করতে হচ্ছে দারিদ্র্যসীমার ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ৭০% বেশি

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে সুস্থভাবে জীবনধারণের জন্য প্রতিদিন যে পরিমাণ খাদ্যশক্তি (২ হাজার ১০০ ...

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...